চার্লি এক বাউন্ডুলে যুবকের গল্প যে আপনাকে মনে করিয়ে দেবে বাংলির চিরচারিত প্রিয় চরিত্র হিমুর সাথে। চার্লি’ সমাজের অনাবিষ্কৃত চরিত্র যারা নিভৃতেই ভালোবাসা ও সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয় । সেবা পরম ধর্ম এই ব্রতে এগিয়ে যাওয়া গল্প একটি মানবিক আকাঙ্ক্ষা ও দায়িত্ববোধের প্রতিরূপ। মানবিক প্রেমের প্রত্যাশায় সমাজ পরিবর্তনের ‘হ্যামিলনের বাশিওয়ালা’ চার্লি। চার্লি সিনেমাটায় ধুন্ধুমার মারামারি বা জটিল মারপ্যাঁচের ডায়ালগ নাই কিন্তু আছে এমন এক ছেলের গল্প যেমন সব ছেলেই ছোটবেলা বা কৈশোরে হওয়ার স্বপ্ন দেখে। সাধারন গল্পের অসাধারন চিত্রায়ন। চার্লি চরিত্রে দুল্কার সালমান অসাধারন, তেসা চরিত্রে পার্বতী ও যথাযথ। চার্লিকে তেসার খুঁজে বেড়ানো, তার জন্য অপেক্ষা আপনাকে হিমুর রুপার কথা মনে করাবে, দুল্কারের চার্লি চরিত্রটাই এই মুভির প্রাণ। বাংলা সাবটাইটেল লাগিয়ে দেখে ফেলুন দুল্কার সালমান অভিনীত অসসাধারন মুভিটি।
মুভিতে ভ্রমণপ্রিয় চঞ্চল মেয়ে টেসা (পার্বতী) একজন গ্রাফিক আর্টিস্ট। ফ্যামিলি তাকে জোর করে বিয়ে দিতে চাইলে সে বান্ধবীর পরামর্শে পালিয়ে কেরালায় একটা বাসা ভাড়া নিয়ে লুকিয়ে থাকে। বাসাটা অগোছালো, অপরিষ্কার আর অদ্ভুত সব জিনিসে ভরা। সে জানতে পারে বাসাটায় অদ্ভুত স্বভাবের রহস্যময় ভবঘুরে এক মানুষ থাকতো, নাম ছিল চার্লি (দুলকার সালমান)। ঘর গোছানোর সময় সে পায় একটা অসম্পূর্ণ স্কেচবুক, সেখানে চার্লি এঁকে রেখেছিল গত বছরের নিউ ইয়ারস ইভে ঘটা অদ্ভুত এক কাহিনী, তার বাসায় ঢোকা চোরের সাথে বন্ধুত্ব করে চুরি করতে বের হওয়া! সেই কাহিনীটা এতই ইন্টারেস্টিং ছিল যে, টেসা বাকি অসম্পূর্ণ কাহিনী জানার জন্য উদগ্রীব হয়ে পড়ে, আর চার্লিকে খুঁজতে বেড়িয়ে পড়ে। পদে পদে সে দেখা পায় চার্লির পরিচিত অনেক মানুষকে, আর আরো জানতে পারে তার সম্পর্কে। ওর কোনো নির্দিষ্ট ঠিকানা নেই, নেই কোনো পরিচয় বা বাড়ি। কিন্তু সে সবার উপকার করার চেষ্টা করে, অন্যকে সুখী দেখতে চায়। টেসা একবারের জন্যও চার্লিকে দেখেনি, তবুও তাকে ভাল লেগে যায় তার। চার্লিকে খুঁজতে আরো মরিয়া হয়ে উঠে সে। শেষ পর্যন্ত কি সে চার্লির দেখা পেল? পেলেও কীভাবে পেল? সেটা মুভি দেখলেই বুঝবেন।
রিভিউ করেছেনঃ Movietalkbd
বাংলা সাবটাইটেল টা কই গেলো.?
সাবটাইটেল টা নেই
সাব নামানো যায়না কেন?
অসাধারণ মুভি, অসাধারণ রিভিউ 💜