টুয়েন্টিওয়ান গ্রাম মুভিটির বাংলা সাবটাইটেল (21 Grams Bangla Subtitle) বানিয়েছেন সাইমন এলেক্স। টুয়েন্টিওয়ান গ্রাম মুভিটি পরিচালনা করেছেন আলেজান্দ্রো গঞ্জালেজ ইনারেতু। এত সুন্দর একটা গল্পের লেখক ছিলেন গিলারমো এরিয়াগা। ২০০৪ সালে টুয়েন্টিওয়ান গ্রাম মুক্তি পায় । ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে এখন পর্যন্ত ২,১৩,৬৩৬টি ভোটের মাধ্যেমে ৭.৭ রেটিং প্রাপ্ত হয়েছে মুভিটি। ২০ মিলিয়ন বাজেটের টুয়েন্টিওয়ান গ্রাম মুভিটি বক্স অফিসে ৬০.৪ মিলিয়ন আয় করে।
ডানকান ম্যাকডুগাল নামের বৈজ্ঞানিকটার রিসার্চের কথা নিশ্চয়ই শুনেছেন? বিশ শতকের শুরুর দিকে ভদ্রলোক রিসার্চ করে প্রমাণ করেছিলেন, মানুষের আত্মার ওজন হলো ‘২১ গ্রাম!’ অর্থাৎ একজন মানুষের যখন মৃত্যু হয়, তখন তার শরীর থেকে ২১ গ্রাম ওজন কমে যায়। ছয় বছর ধরে চার জন সহকারী ডাক্তারের সাহায্যে বিভিন্ন ব্যক্তির উপর পরীক্ষা করে তিনি এই তত্ত্ব আবিস্কার করেন। ভেরি ইন্টারেষ্টিং!!
21 Grams মুভিটা যে এই তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে বানানো, তা বলবোনা – তবে বেশ খানিকটা ঝাঁঝ আছে মুভিতে। অস্কারজয়ী ডিরেক্টর Alejandro G. Iñárritu এর ডেথ ট্রিলজির দ্বিতীয় মুভি এটা! নন-লিনিয়ার টাইপের সব মুভিই কেন যেন বেশ ভালো লাগে, মাথা খাটাতে হয় বলেই হয়তো। সে হিসেবে 21 Grams মুভিটা যাচ্ছেতাই লেভেলের ভালো ছিলো বলতে হবে!!
একই সাথে তিনটি পরিবারের চলমান ঘটনাকে একটি নির্দিষ্ট বৃত্তে আবদ্ধ করে মুভির সরল প্লটটাকে প্ল্যান অনুযায়ী ধীরে ধীরে জটিল করে উপস্থাপন করা হয়েছে… তিনটি পরিবারের একদম আলাদা তিনটি গল্প অনাকাঙ্ক্ষিত একটি দূর্ঘটনায় এসে মিলিত হয়! মুভিটার যত গভীরে আপনি ঢুকবেন, ততই চমৎকৃত হতে থাকবেন! মুভিটার একদম শেষে হতভম্ব দর্শকের দিকে নাটুকে কায়দায় ডিরেক্টর এমন প্রশ্নও করে বসেন, “এক্সাক্টলি মানুষের জীবনের মানে কী? দেহ তো যন্ত্র, এই যে আত্মার ২১ গ্রাম, এই ২১ গ্রামে কতটুকুই বা ক্ষোভ, দু:খ, কষ্ট, অনুশোচনা থাকতে পারে?? কি মনে করেন??”
অস্কারে দু’টো ক্যাটাগরিতে নমিনেশন পেয়েছিল 21 Grams আমার কাছে মুভিটা ‘মাষ্ট সি’ টাইপ লেগেছে, এর আগে এই ডেথ ট্রিলজির Babel – 2006 মুভিটা দেখার পরও এমন ভালো লাগা কাজ করেছিলো!! সবথেকে বড় কথা, মুভিটা আপনাকে দেখতে হবে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে। কোনো একটা মুহুর্ত মিস করে ফেলায় হয়তো মুভিটা বুঝতে একটু ঝামেলায় পড়তে হবে আপনার। তবে আপনি যদি নন-লিনিয়ার মুভি দেখায় অভ্যস্থ থাকেন, মুভিটা ভালো লাগবেই গ্যারান্টি দিচ্ছি।
রিভিউ করেছেনঃ Khalid Mahmud