দেবদাস মুভিটির বাংলা সাবটাইটেল (Devdas Bangla Subtitle) বানিয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ। দেবদাস মুভিটি পরিচালনা করেছেন সঞ্জয় লীলা ভান্সালী। এত সুন্দর একটা গল্পের লেখক ছিলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। ২০০২ সালে দেবদাস মুক্তি পায় । ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে এখন পর্যন্ত ৩৫,৩৭৫ টি ভোটের মাধ্যেমে ৭.৬ রেটিং প্রাপ্ত হয়েছে মুভিটি। ৫০০ মিলিয়ন বাজেটের দেবদাস মুভিটি বক্স অফিসে ১.০২ বিলিয়ন আয় করে।
কিছু কিছু বন্ধুত্ব জীবনে এমনই প্রবল হয়ে যায় যে আলাদা করে আর প্রেমের জন্য জায়গা থাকে না। বন্ধুত্বের শেকড়ে গাঁথা বাল্যকালের প্রেমের গল্প, জীবনশেষে কী পরিণতি হয় তার? সবচেয়ে শুদ্ধ, সবচেয়ে গভীর প্রেম হয় জীবনের প্রথম প্রেমটি। সবকিছুর পরেও মনে স্থায়ী দাগ ফেলে দেয় প্রথম মন দেয়া-নেয়া। দেবদাস-পার্বতীর ক্ষেত্রেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। শরৎচন্দ্রের ‘দেবদাস’ উপন্যাসের উপর নির্মিত “দেবদাস” চলচিত্র,বাল্যকালের এমনই এক করুণ প্রেমের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। এতে ফুটে উঠেছে প্রথম ব্যথা, প্রথম সুখ এবং প্রথম কারো জন্য নিজেকে ভুলে যাওয়ার গল্প।
এদের প্রেমের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় সেই চিরাচরিত সমাজ এবং পার্বতীর আত্মসম্মান। দেবদাস পার্বতীকে প্রত্যাখ্যান করে তার পরিবার ও সমাজের জন্য, আদতে যারা শেষপর্যন্ত তার আপন হতে পারেনি। পার্বতী ঠিক একই কাজ করে আত্মসম্মান থেকে। যে রাতে পার্বতী সবকিছুর পরোয়া না করে শুধুমাত্র তার দেবদাদার টানে চলে গিয়েছিলো, দেবদাস তার মূল্য দিতে পারেনি। এবং অন্যের অপমান যতটা সহজে সহ্য করা যায়, যার জন্য সব অপমান সহ্য করে গিয়েছে পার্বতী, তার কাছ থেকে অপমান সে নিতে পারেনি। তাই জবাব দিয়েছে পাল্টা আঘাতে। সেই আঘাত তাদের দুজনের জন্যই ছিল অনেক কঠিন, কিন্তু আত্মসম্মানটা একেবারে ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারেনি সে। ইতিহাস এর সবথেকে হৃদয়বিদারক মুভি এবং সেরা বিরহের গল্প।