পেরানবু মুভিটির বাংলা সাবটাইটেল (Peranbu Bangla Subtitle) বানিয়েছেন শাকিল মিকু। পেরানবু মুভিটি পরিচালনা করেছেন র্যাম। এত সুন্দর একটা গল্পের লেখক ছিলেন র্যাম। ২০১৯ সালে পেরানবু মুক্তি পায় । ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে এখন পর্যন্ত ১০,৩৬১ টি ভোটের মাধ্যেমে ৯.৩ রেটিং প্রাপ্ত হয়েছে মুভিটি।
আড়াই ঘন্টার মুভিটাকে ১০ মিনিটে গুছিয়ে অদ্ভুত সুন্দর করে কে যেনো কানের কাছে বললো, চোখেও তার জন্য জল জমলো, যেটার রেশ ভেতরে আড়াই বছর থাকবে।মুভি প্লটঃএকজন বাবা ১০ বছর দুবাইতে কাজ করে কাটান। তার একমাত্র মেয়েটা শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং চিল্লাচিল্লি সহ নানারকম অস্বাভাবিক কার্যকলাপ করে। ১৪ বছরের এই মেয়েকে সামলাতে হিমশিম খেতে হয়! মেয়েকে সামলানোর কষ্ট সইতে না পেরে মেয়েটির মা আরেক লোকের সাথে চলে যায় আর তার স্বামীকে চিঠি দেয় অনেকটা এমন,আমি চলে যাচ্ছি, অর্ধেক দায়িত্ব আমি পালন করেছি বাকিটা তুমি এসে পালন করো, আমি আর পারছি না, আমি চলে গেলাম।”বাবা চলে আসলেন, শুরু হলো আরেক জীবন সংগ্রাম। সমাজ তাকে মেয়ে নিয়ে অন্য কোথাও গিয়ে থাকতে বলে, তার মেয়ে সারাক্ষণ চিল্লাচিল্লি করে। জয়েন্ট ফ্যামিলির ভাই ভাবীদেরও এক কথা। তাদের বাচ্চারাও কি শিখবে এই অটিস্টিক মেয়ের এইসব দেখলে।
উপায় না দেখে বাসা ছেড়ে বের হয়ে গেলেন মেয়েকে নিয়ে। শুরু হয় আসল গল্প! প্রকৃতির নিষ্ঠুরতা কোথায় নিয়ে দাঁড় করাতে পারে একজন বাবাকে তার একটা সুক্ষ্ম গ্রাফ বলা যেতে পারে মুভিটিকে।এটা আসলে বাবা মেয়ের গল্প হলেও গল্পটা মূলত প্রকৃতির নিষ্ঠুরতা, সহমর্মিতা, সহানুভূতির ১২ টা অধ্যায় নিয়ে নির্মিত! আমরা সুখে থাকার হাজারটা প্লান করলেও প্রকৃতি চলে প্রকৃতির প্লানে। প্রকৃতির প্লানই শেষ কথা! কতটুকু অসহায় হতে পারে একজন বাবা, কতটুকু কষ্ট দুঃখ বুকে জমিয়ে হাসিমুখে চুপচাপ থাকতে পারে।
আমি শুধু ভাবছিলাম একটা মানুষ এতটা কুল কিভাবে হয়!অসাধারণ সিনেমাটোগ্রাফির সাথে তামিল মুভির ড্রামা জনরার আরেকটা মাস্টারপিস। এই মুভিটা আরেকটা মুভির কথা মনে করিয়ে দেয়!
রিভিউ করেছেনঃ Remon Ahmed Semanto
এই মুভিটা আরেকটা মুভির কথা মনে করিয়ে দেয়– কোনটা?
Miracle in cell no 7