দ্য সাইলেন্স মুভিটির বাংলা সাবটাইটেল (The Silence Bangla Subtitle) বানিয়েছেন সারাহ ইকবাল। দ্য সাইলেন্স মুভিটি পরিচালনা করেছেন ইংমার বারিমান (Ingmar Bergman) । এত সুন্দর একটা গল্পের লেখক ছিলেন ইংমার বারিমান । ১৯৬৩ সালে দ্য সাইলেন্স মুক্তি পায় । ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে এখন পর্যন্ত ১৬,০০৯ টি ভোটের মাধ্যেমে ৭.৯ রেটিং প্রাপ্ত হয়েছে মুভিটি। দ্য সাইলেন্স মুভিটি বক্স অফিসে ০.৩৫ মিলিয়ন আয় করে।
কুব্রিক, হিচকক, নোলান অথবা স্পিলবার্গ ইত্যাদি আরও অনেক গুণী-জ্ঞানী সিনেমা নির্মাতাদের নাম তো আমরা অনেক শুনেছি। শুধু নামই কেন, কাজও সবাই কমবেশি দেখেছি সেটাই স্বাভাবিক। আর উনারা যেমন নামকরা পরিচালক, ঠিক তেমনি আজকের মুভির পরিচালকও একজন জগদ্বিখ্যাত নির্মাতা ইংমার বারিমান নামের এই মানুষটিকে সর্বকালের সেরা সুইডিশ পরিচালক হিসেবে গণ্য করা হয়। তার বেশিরভাগ সিনেমাই ড্রামা জনরার হলেও অনন্য সাধারণ ও জটিল সব প্লটের ভিত্তিতে সিনেমা নির্মাণ করেন তিনি। আপনি হয়তো আপাতদৃষ্টিতে সিনেমাটিকে নিতান্ত সাধারণ গল্পের বলে ভাবতে পারেন, কিন্তু খুব খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যাবে, সাধারণ গল্পের বেশ ধরে আড়ালে লুকিয়ে আছে অসাধারণ এক শৈল্পিক ভাব।
যাইহোক, আজকে বারিমানের দ্যা সাইলেন্স “The Silence Aka Tystnaden” সিনেমাটি নিয়ে কথা বলবো। সিনেমার প্লট গড়ে উঠেছে দুই বোন ও তাদের একজনের ছোট এক বালককে নিয়ে। সিনেমার প্রথম কয়েকমিনিট দেখলে আপনিও খানিকটা বিভ্রান্তিতে পড়বেন। মানে দুই বোনের অসংলগ্ন আচরণ দেখে ঘটনাপ্রবাহ বুঝতে অল্প একটু সময় লাগবে আপনার। আসলে সত্যি বলতে কি, ১ ঘন্টা ৩১ মিনিটের এই সিনেমা ড্রামা হলেও, গল্পটা এগিয়েছে একটা রহস্য রহস্য গন্ধের ভেতর দিয়ে। প্রথম আধ ঘন্টা দেখলে, খানিকটা বোরিংও লাগতে পারে, কিন্তু আর একটু সামনে আগালে গল্প যখন ধরতে পারবেন, বেশ ভালোই লাগবে।
সিনেমাতে মূলত দুইজন বিপরীত ধর্মী বোনকে দেখানো হয়েছে। দুইজনের ভেতর বিদ্যমান দ্বন্দ্ব, বিদ্বেষ, হিংসা ইত্যাদিকে বেশ সুস্পষ্টভাবে পর্দায় তুলে ধরা হয়েছে। তবে পর্দায় যেটা সরাসরি তুলে ধরা হয়নি, কিন্তু সূক্ষ্মতম ভাবে দর্শকদের উপলব্ধি করতে বলা হয়েছে তা হলো, মানুষ নামক রক্তে- মাংসে গড়া প্রাণীটির চাহিদার প্রকটতা ও অভাবের প্রাচুর্যতার অতি সাধারণ দিকটি। কারো যেমন অগাধ শিক্ষা,খ্যাতি থেকেও ব্যক্তিগত জীবনে সুখ থাকে না, আবার কারো নিজেকে বিশেষ কেউ হিসেবে বাকিদের কাছে প্রকাশ করার তাগিদে আপনজনদের অবহেলা করতেও বাধে না। আর দুইজন নারীর এমন মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপারগুলোই পরিচালক মূলত আমাদের দেখাতে চেয়েছেন।
সিনেমাতে প্রথমদিকে তেমন গাম্ভীর্যপূর্ণ ও তাৎপর্যযুক্ত কোনো সংলাপ না থাকলে প্রায় শেষের দুই বোনের দুইটা দৃশ্যে বেশ জোরালো ও বাস্তবধর্মী সংলাপ ছিল। এছাড়া আরও একটা ব্যাপার বলে নিতে চাই, এদের দুজনেই দুই ধরণের অসুখে আক্রান্ত। শারীরিক ও মানসিক দুটোই বলা যায়। তাই গল্পটা আরও বেশি জমজমাট হয়ে উঠেছিল। সবশেষে বলতে চাই, সিনেমাটি সবার ভালো লাগবে এমন কোনো কথা নেই। তবে যারা ক্লাসিক ড্রামা দেখে অভ্যস্ত ও পছন্দ করেন, তাদের অস্থিরই লাগবে।
please upload the bengali subtitle of wild strawberries