১২ মাংকি’স মুভিটির বাংলা সাবটাইটেল (12 Monkeys Bangla Subtitle) বানিয়েছেন সারাহ ইকবাল। ১২ মাংকি’স মুভিটি পরিচালনা করেছেন টেরি গিলিয়াম। অসাধারণ এই গল্পের লেখক ছিলেন ক্রিস মার্কার। ১৯৯৬ সালের ৫ জানুয়ারি ১২ মাঙ্কি’স মুক্তি পায় । ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে এখন পর্যন্ত ৫,৪৫,২৬৬ টি ভোটের মাধ্যেমে ৮.০ রেটিং প্রাপ্ত হয়েছে মুভিটি। ২৯.৫ মিলিয়ন বাজেটের ১২ মাংকি’স মুভিটি বক্স অফিসে ১৬৮.৮ মিলিয়ন আয় করে।
“12 Monkeys” ১৯৯৫ সালে টেরি গিলিয়াম পরিচালিত এক সাইন্স ফিকশন ও টাইম ট্র্যাভেল ভিত্তিক মুভি। যেখানে মুভির শুরুতেই (২০৩৫) দেখা যায় ১৯৯৭ সালে অপরিচিত এক ভাইরাসের কারণে মানুষের জন্য পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যারর প্রায় ৯৯ ভাগ ই মারা যায় বাকি ১ ভাগ ভূগর্ভে বসবাস শুরু করে এবং আমাজন জংগলের মত পৃথিবীতে জীবজন্তুদের রাজত্ব শুরু হয় । ভূগর্ভে বসবাসরত একদল বিজ্ঞানী প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে ভাইরাসের প্রতিষেধক বের করতে কিন্তু তাদের কাছে এই ভাইরাস সম্পর্কে কোনো তথ্য না থাকায় তাদেরকে পুনরায় অতীত আই মিন ১৯৯৬ থেকে সংগ্রহ করতে হবে (যেখান থেকে ভাইরাসের সূত্রপাত হয়েছিলো)। আর এ কাজটি সম্পাদন করার জন্য একজন ভলান্টিয়ারের প্রয়োজন যে কিনা অতীতে গিয়ে মহামারী ভাইরাস সম্পর্কে তথ্য কালেক্ট করবে। এর এ কাজের জন্য নির্বাচন করা হয় জেমস কোলকে কারণ কোলই একমাত্র ব্যাক্তি যে কিনা ২০৩৫ সালে পৃথিবীপৃষ্ঠে এসে “12 Monkeys” নামক গ্রুপের সন্ধান পায় যেখানে লেখা ছিল “we did it”. আর কোল ও বিজ্ঞানীরা প্রাথমিকভাবে এই ১২ মাংকিজকেই ভাইরাস বিস্তারের জন্য দায়ী মনে করে যদিও তা আন্ধাকারে ঢিল মারার মতই।
এমতাবস্থায় কোল’র স্বপ্নে প্রায়ই একটি চিত্র ভেসে আসে! যেখানে একজন ব্যাক্তি এয়ারপোর্টে গান নিয়ে দৌড়াতে থাকে ও তার পিছু পিছু লাল ড্রেস পরিহিত একটি মেয়ে! টিক তখনই এয়ারপোর্টের পুলিশের গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পরে ব্যাক্তিটি মেয়েটির কোলে মাথা রেখে ব্যাক্তিটির আই কন্ট্যাক্ট হয় পিচ্চি একটি ছেলের সাথে। (স্বপ্নটির ব্যাখ্যা আপনারা একেবারে শেষের দিকেই বুঝতে পারবেন)
তো সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভাইরাস সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য কোলকে টাইম ট্রাভেল করে পাঠানো হয় ১৯৯৬ এ কিন্তু ভুল করে কোল পৌছে যায় ১৯৯০ এ! অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের ৬ বছর আগে । ১৯৯০ এ কোল নিজেকে আবিষ্কার করে একটি মানসিক হাসপাতালে (সোজা বাংলায় পাগলা গারদ) যেখানে কোলের ডাক্টার হিসেবে দেখা যায় ডাঃ ক্যাথরিনকে। ক্যাথরিন ছাড়াও সেখানে কোলের সাথে দেখা হয় আরেক পাগল জেফরির (ব্রাড পিট) এবং কোল ই তাকে জানায় যে সে এখানে ভাইরাস সম্পর্কে তথ্য নিতে এসেছে। তো কাংখিত তথ্যের জন্য কোলকে আবার পাঠানো হয় ১৯৯৬ সালে কিন্তু টাইম ট্র্যাভেল সময় কোলের যাত্রা বিরতি ঘটে ১৯২০ সালে যেখানে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধক্ষেত্রে কোলের সাথে দেখা হয় আরেক ট্র্যাভেলার “জোস” এর!! Who is Jose?? উত্তর পেতে হলে আপনাকে যেতে হবে মুভির একদম শুরুর দিকে যেখানে জোস এর সাথে কোল এর কথোপকথন হয়!! জোস ই হল একমাত্র ভলান্টিয়ার যে কিনা টাইম ট্র্যাভেল করে ফিরে এসেছে তবে এক্ষেত্রে জোস ও ভুলক্রমে ১৯২০ এর কিছু আগে চলে আসে যার দরুন কোল এর সাথে দেখা।
তার সাথে কথা বলতে দেখা যাবে অজ্ঞাত কয়েকজন ব্যাক্তিকে যারা কিনা তাকে “বব” নামে সম্বোধন করবে! আসলে এরা হচ্ছে সেইসব ভলান্টিয়ার যারা বিভিন্ন সময় টাইম ট্র্যাভেল করে অতীতে এসে আর ফিরে যায়নি পৃথিবীর মোহমায়ায় পড়ে এবং তারাই বিভিন্ন সময় কোলকে অজ্ঞাত বিষয় সম্পর্কে অবগত করত। ইতিমধ্যে ক্যাথরিনের সহায়তায় কোল একে একে সব তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে আর এরই ফলে সে বুঝতে পারে যে ১২ মাংকিজ গ্রুপের মূল হোতাই হচ্ছে জেফরি বাট জেফরির সাথে দেখা করলে জেফরি জানায় যে ১২ মাংকিজ এর আইডিয়াটা আই মিন ভাইরাস বিস্তারের পরিকল্পনাটা আসলে দিয়েছে কোল নিজেই ১৯৯০ এ পাগলা গারদে থাকা অবস্থায়! তার মানে কি ভাইরাস বিস্তারের জন্য কোল দায়ী? নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোন রহস্য? কোল কি ২০৩৫ সালে ফিরে যাবে নাকি অন্য সব ভলান্টিয়ারের মত সেও ১৯৯৬ এই থেকে যাবে? আর তার স্বপ্নের রহস্যটাই বা কি??
সবগুলো প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে দেখে ফেলুন ১৯৯৫ সালে নির্মিত এ সাইন্স ফিকশন ও টাইম ট্র্যাভেল ভিত্তিক এ মাস্টারপিস মুভিটি।
This website uses cookies.