১২৭ আওয়ার মুভিটির বাংলা সাবটাইটেল (127 Hours Bangla Subtitle) বানিয়েছেন BBB। ১২৭ আওয়ার মুভিটি পরিচালনা করেছেন ড্যানি বয়েল। আরন রালস্টন এর বিটুইন আ রক এন্ড আ হার্ড প্লেস বই থেকে মুভিটি তৈরি করা হয়েছে। ২০১১ সালে ১২৭ আওয়ার মুক্তি পায় । ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে এখন পর্যন্ত ৩,২৬,১১৯টি ভোটের মাধ্যেমে ৭.৬ রেটিং প্রাপ্ত হয়েছে মুভিটি। ১৮ মিলিয়ন বাজেটের ১২৭ আওয়ার মুভিটি বক্স অফিসে ৬০.৭ মিলিয়ন আয় করে।
যারা বিভিন্ন কারণে নিজের জীবনের উপর হতাশ বাঁচার কোনো আশা খুঁজে পান না,তাদেরকে মুভিটা দেখার জন্য বলব। কখনো চিন্তা করে দেখেছেন বেঁচে থাকার জন্য নিজের প্রসাব-পায়খানা খাওয়ার কথা, নিজের শরীরের রক্ত-মাংস খাওয়ার কথা! হ্যাঁ মুভিটিতে এমনটাই দেখানো হয়েছে এবং সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করেই নির্মান করা হয়েছে মুভিটি।
(স্পয়লার এলার্ট)
এরন র্যালস্টোন পেশায় মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার কিন্তু অভিযানের নেশা তার মাথায় ভূত চাপার মতই সেটাই তার জীবনের কাল হয়ে দাঁড়ায় একদিন , ব্লু জন ক্যানিয়ন এ দূর্ঘটনা বশত পড়ে গিয়ে একটা হাত পাথরের মাঝে আটকা পড়ে যায়।ক্যামেরা,নেইল কাটারের ছোট চাকু, হাত ঘড়ি ,হেডফোন আর কাঁধের ব্যাগ নিয়ে পাথরের চিপায় আটকে পড়া এক যুবকের জীবন সংগ্রাম চলতে থাকে, সেখান থেকে বের হওয়ার সব ধরনের চেষ্টা চালায় সে কিন্তু বিধিবাম দিন যায় রাত আসে সেখান থেকে সে আর বের হতে পারে না। হ্যালুসিনেশন আর জীবনের সকল স্মৃতি অবলম্বন করেই টিকে থাকার সংগ্রাম শুরু করে ।বেঁচে থাকার মনোবল টিকিয়ে রাখার জন্য সঙ্গী হিসেবে নিজেকেই বেঁচে নেয় ভিডিও ধারন করে নিজের আর এর সাথে সাথে চলে নেইল কাটারের ছোট চাকু দিয়ে পাথর ভাঙ্গার কাজ সাথে হিসেব করে খাবার-দাবার গ্রহন করা। এত কঠিন পরিস্থিতেও সহজে বুদ্ধিহারা হয়নি কঠিন পরিস্থিতেও নিজেকে টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করে চলে। পাথর থেকে হাত বাঁচানোর কোনো উপায় না দেখে অবশেষে নিজের হাত নিজে কেটে সেখান থেকে বের হয়ে আসে, সেটা কতটা লোমহর্ষক না দেখলে বোঝানো কঠিন।
এটি আমার দেখা বেস্ট সারভাইভাল মুভি। এছাড়া অনেক সারভাইভাল মুভি দেখছি কিন্তু এক জায়গায় এত কঠিন ভাবে টিকে থাকা দেখিনি। নায়ক জেমস ফ্রাঙ্কো মনে হয় তার সেরা অভিনয়টি ফুটিয়ে তুলেছেন এখানে।
“মৃত্যু হার মানে জীবনের কাছে-বেচে থাকে জীবন টিকে থাকার মাঝেই”
রিভিউ করেছেনঃ সৌরভ আহমেদ
This website uses cookies.