Birds of Passage (2019) Bangla Subtitle – বার্ডস অফ প্যাসেজ

বার্ডস অফ প্যাসেজ (Birds of Passage) স্পেনীয় ভাষা কলম্বিয়ার সবচেয়ে সফল চলচ্চিত্র হিসাব ধরা হয়। মুভিটি পরিচালনা করেছেন যৌথভাবে ক্রিস্টেনা গ্যাল্লেগো এবং চিরো গুয়েরা। এত সুন্দর গল্পটি লিখেছেন মারিয়া ক্যামিলা আরিয়াস এবং জ্যাক টলেমনডে ভিদাল। আইএমডিবিতে ৭.৭ রেটিং পাওয়া মুভিটি বিশ্বব্যাপি বেশ কিছু পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছে। মুভিটির বাংলা সাব বানিয়েছেন আবু বকর।

সাবটাইটেল এর বিবরণ

  • মুভির নামঃ বার্ডস অফ প্যাসেজ
  • পরিচালকঃ ক্রিস্টিনা গ্যাল্লেগো, চিরো গুয়েরা
  • গল্পের লেখকঃ মারিয়া ক্যামিলা আরিয়াস, জ্যাক টলেমনডে ভিদাল
  • মুভির ধরণঃ ড্রামা
  • ভাষাঃ স্প্যানিয়, ইংরেজি
  • মুক্তির তারিখঃ ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • আইএমডিবি রেটিংঃ ৭.৭/১০
  • রান টাইমঃ ১২৫মিনিট

আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত, যে এই মুভির বি সাব বানিয়েছিলেন সে ই আবার সাবসিন থেকে রিমুভ করে দিয়েছে…..

আবার যদি কেউ এই মুভির বি সাব করে তাহলে আমরা লিংক টি এখানে এড করে দিবো।

বার্ডস অফ প্যাসেজ মুভি রিভিউ

বার্ডস অফ প্যাসেজ অস্কার নমিনি চিরো গুয়েরার অস্কার নমিনেশন পাওয়ার পরই দ্বিতীয় সিনেমা৷ বলে রাখি এমব্রেস অফ দ্যা সারপেন্ট কলাম্বিয়ার প্রথম মুভি যেটা অস্কারে নমিনেশন পায়৷ সেটা দেখার অভিজ্ঞতা অভূতপূর্ব। লোভের প্রভাবে যে স্পিরিচুয়াল অরিজিনের ক্ষয় হয়ে গিয়েছে কালক্রমে সেটা স্ক্রিনে আর কেউই এভাবে দেখায় নাই।

বার্ডস অফ প্যাসেজে দেখানো হয় কিভাবে একটা অন্যায় ব্যাবসায় সৃস্ট রিপু সকল বাধাকে তুচ্ছ করে কলম্বিয়ার সবচেয়ে বড় দুটি স্থানীয় সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দেয়৷

Related Post

কলাম্বিয়ার প্রভাবশালী এক পরিবার ওয়েয়ু। তারা ব্যাবসার সাথে এটাও মাথায় রাখে তাদের সংস্কৃতি এবং পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ইনফেক্ট সব কিছুর উর্ধ্বে৷ সকল বাধা বিপত্তির জন্য তারা নির্ভর করে তাবিজ কবচ এবং পূর্বপুরুষদের আত্মাদের আশীর্বাদের উপর। এমন এক পরিবারের এক পরিণত বয়সের তরুণী যাইদার প্রেমে পরে তুলনামূলক নিচু জাতের রাফায়েত। তাকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালে ওয়েয়ু পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি এবং যাইদার মা উরসুলা তাকে খুব বড় মাপের যৌতুক আনতে বলে৷ উরসুলা তার হবু জামাইকে ইঙ্গিত দেয়, এই অকল্পনীয় যৌতুকের কারণ সে তাকে বিশ্বাস করে না এবং বলে তার পরিবারকে বাঁচাতে সে সবকিছু করতে পারবে৷

রাফায়েত যৌতুক জোগাড় করতে গিয়ে হাত দেয় মারিজুয়ানা ব্যাবসায়৷ তার ইচ্ছে ছিল যৌতুক জোগাড় শেষ হলেই সব বন্ধ করে দেবে৷ কিন্তু এই কারবারের হাত থেকে কি এত সহজে রেহাই পাওয়া যায়! আস্তে আস্তে ড্রাগ আমদানিতে বিশাল অংকের লাভ দেখতে শুরু করলো সে। কিন্তু এটা দেখলো না, তার চারপাশের শান্তি সব আস্তে আস্তে নরকে পরিণত হয়ে যাচ্ছে।

বার্ডস অফ প্যাসেজ ছয়টি অংশে বিভক্ত৷ সেগুলোকে সুধানো হয়ে গান নামে। ছয়টি গান, ছয়টি পাখি একটি আবহমান উক্তি, লোভে পাপ, পাপে কি?

সিনেম্যাটোগ্রাফার ডেভিড গ্যালিগো কলাম্বিয়ার সাংস্কৃতিক সৌন্দর্য প্রতিটা ফ্রেমে খুব যত্ন নিয়ে ক্যাপচার করেছেন। সেই সাথে ডিরেক্টরের ভিশন। ডিরেক্টর মূল্যবোধের ক্ষয়ের সাথে রিলেট করেছেন পূর্ব পুরুষদের আত্মার ক্রোধের মাধ্যমে। সিনেমার শুরুতেই দেখানো হয়, এখানে সবাই আধ্যাত্মিক ক্ষমতায় বিশ্বাসী। উরসুলা তার পরিবারের রক্ষায় ব্যাবহার করে তার পুর্বপুরুষের দেয়া তাবিজ। এই তাবিজের কল্যাণে সে তার পরিবারকে সকল বাধা বিপত্তি থেকে রক্ষা করবে৷ একটা নির্দোষ বিশ্বাস৷ সিনেমা যতই এগুতে থাকে সচেতন দর্শক দেখতে থাকে, একসময়ের নিরেট বিশ্বাসকে উন্নতির মুখে সকলেই অন্ধ বিশ্বাস বলছে। একটা সময় এমন আসে, যখন লোভ, প্রতিশোধের সামনে সব ধূলিসাৎ হয়ে যায়।

This website uses cookies.