Blood Diamond (2006) Bangla Subtitle – রক্তের দামে কেনা সম্পদ এর গল্প

যারা বাংলা সাবটাইটেল লাগিয়ে মুভি দেখতে পছন্দ করেন তাদের কথা মাথায় রেখে ব্লাড ডায়মন্ড মুভিটির বাংলা সাবটাইটেল (Blood Diamond Bangla Subtitle) বানিয়েছেন সাইমন এলেক্স। ব্লাড ডায়মন্ড মুভিটি পরিচালনা করেছেন এডওয়ার্ড জিউইক। এত সুন্দর একটা গল্পের লেখক ছিলেন চার্লস লেভিট। ২০০৬ সালে ব্লাড ডায়মন্ড মুক্তি পায় । ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে এখন পর্যন্ত ৪,৬৪,৮০৮টি ভোটের মাধ্যেমে ৮.০ রেটিং প্রাপ্ত হয়েছে মুভিটি। ১০১ মিলিয়ন বাজেটের ব্লাড ডায়মন্ড মুভিটি বক্স অফিসে ১৭১.৪ মিলিয়ন আয় করে।

সাবটাইটেল এর বিবরণ

  • মুভির নামঃ ব্লাড ডায়মন্ড
  • পরিচালকঃ এডওয়ার্ড জিউইক
  • গল্পের লেখকঃ চার্লস লেভিট
  • মুভির ধরণঃ অ্যাডভেঞ্চার, ড্রামা, থ্রিলার
  • অনুবাদকঃ Symon Alex
  • মুক্তির তারিখঃ ৮ ডিসেম্বর ২০০৬
  • আইএমডিবি রেটিংঃ ৮.০/১০
  • আইএমডিবি ভোটঃ ৪,৬৪,৮০৮টি
  • বাজেটঃ ১০১ মিলিয়ন
  • বক্স অফিস আয়ঃ ১৭১.৪ মিলিয়ন
  • রান টাইমঃ ১৪৩ মিনিট

সাবটাইটেল ডাউনলোড

ব্লাড ডায়মন্ড মুভি রিভিউ

“Blood Diamond” – রক্তের দামে কেনা সম্পদ এর গল্প !!

রক্তের দাম দিয়ে যে ডায়মন্ড কিনতে হয়, সেই ডায়মন্ড কিংবা হীরা নাগরিক সমাজে সম্মান- মর্যাদা বৃদ্ধির মাপকাঠি হলেও , এর পিছনের গল্পগুলো তাকে নিদারুণ কষ্ট ও যন্ত্রণার । টাকা দিয়ে সম্পর্ক যেমন হয়না , ঠিক এই টাকা ছাড়াই কাছের মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটানো অসম্ভব । “Blood Diamond” ছবিটিতে দারুণ কিছু মুভমেন্ট দেখার মতন ছিল লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও’র , তার আচার-আচরণ সবকিছু ছবিতে তার চরিত্রের সাথে দারুণভাবে ফুটে উঠেছে । আর তার অনুসন্ধানী চোখ দারুণ লেগেছে , যেন কোথায় কার মাঝে কি আছে সব যেন তার নখদর্পণে ,সব যেন তার জানা ।

সম্পদ একটা দেশকে যেমন অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছলতা এনে দিতে পারে ঠিক তেমনি নিয়ে আসতে পারে সেই দেশে সংঘাত এবং সহিংসতার পরিস্থিতির । সেই দেশের মানুষের জীবনে নিয়ে আসতে পারে দুর্বিষহ অবস্থা । আফ্রিকার একটি দেশ সিয়েরা লিওন, যেখানে প্রকৃতিগতভাবেই পাওয়া যায় হীরা বা ডায়মন্ড । আর তা নিয়েই সমগ্র দেশজুড়ে অস্থিরতা । হানাহানি, মারামারি , সহিংসতা লেগে থাকে সেখানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্রুপের মাঝে । অল্প বয়সী ছেলেদের যুক্ত করা হয় সেইসব গ্রুপে । তারপর মানুষ মারার এক দক্ষ সৈনিক হিসেবে গড়ে তোলা হয় তাদের । মানবতা যেন এখানে ভুলন্থিত , কে কার রক্ত নিবে কে কার উপরে থাকবে তার যেন অসম চেষ্টা । কিন্তু এই নিষ্ঠুর চেষ্টা সেই দেশের সাধারণ মানুষের জীবন যে কতটা দুর্বিষহ করে তোলে তার ব্যাপারে কারো কোন মাথা ব্যথাই নেই । আর নিজেদের সাথে সহিংসতার পাশাপাশিতো আছেই অন্যদেশের আগ্রাসী মনোভাব । আর এই সবকিছু নিয়েই গড়ে উঠেছে “Blood Diamond” মুভিটি ।আসলেই যথার্থ নাম দেওয়া হয়েছে ছবিটির এর কাহিনীর সাথে।

Related Post

একজন মৎস্যশিকারি, একজন স্মাগলার এবং একদল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের লোকদের নিয়ে “Blood Diamond” মুভির কাহিনী মূলত এগোতে থাকে । যেখানে হীরার জন্যে স্মাগলার এবং একদল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট হন্যে হয়ে ছুটে । আর এই স্মাগলার চরিত্রে অভিনয় করেছে লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও আর মৎস্যশিকারি চরিত্রে অভিনয় করেছে ডিজিমন হনশু । চমৎকার অভিনয় দেখিয়েছে তারা দুজন তাদের নিজ নিজ চরিত্রে । একজন স্মাগলার হিসেবে সবসময় এক অনুসন্ধানী দৃষ্টি ছিল সব দিকে লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও । কোথায় কিভাবে কার ডায়মন্ড পাওয়া যাবে , নেয়া যাবে তার পিছনে হন্যে হয়ে সমগ্র ছবিজুড়ে তার বিচরণ দেখা যায় আর মৎস্যশিকারি সলোমন ভেনডি (ডিজিমন হনশু) সবসময় সজাগ থাকে তার পরিবারকে নিয়ে। ছবিতে তারই এক অস্থির চিত্র ফুটে উঠে । জীবন যেন তাদের বাঁধা পড়েছে সিয়েরা লিওনে এক দ্বিধা ও দন্দের মাঝে । তার এক জাজ্বল্যল্যমান দৃশ্য ফুটে উঠেছে ছবি জুড়ে ।

ছবিটি একশনের মুভি হলেও মুভি ভর্তি আবেগ , ভালোবাসা সবই বিরাজমান । মানুষ যে কতটা নিষ্ঠুর হতে পারে তার প্রয়োজনে তার এক উজ্জ্বল উদাহরণ “Blood Diamond” মুভিটি । একজন মানুষের পরিবার রক্ষা করা নিয়ে যেখানে শংকা সেখানে আবার ডায়মন্ডের লোভে হন্যে হয়ে ঘুরছে আরেকদল মানুষ । খুন কিংবা মৃত্যু কোন কিছুই যেন তাদের দমাতে পারেনা ডায়মন্ড পাওয়ার লোভ থেকে আফ্রিকার এই দেশ সিয়েরা লিওনে।

২০০৬ সাল মুক্তি পাওয়া চার্লস লিভেট ও সি গ্যাবি মিশেল এর লেখা গল্প অবলম্বনে ছবিটি পরিচালনা করে পরিচালক এডওয়ার্ড জিউক । ১৪৩ মিনিটের এই ছবির কাহিনী ,দৃশ্যায়ন সবকিছুতেই আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনে ডায়মন্ড নিয়ে হওয়া পরিস্থিতি ফুটে উঠেছে চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে । মানবতা যে পরাজিত হয় মানুষের সম্পদের লোভের কাছে তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই ছবি । ছবির দৃশ্যায়নগুলো খুব চমৎকার ছিল । প্রেস কিংবা মানুষের জীবন কিংবা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য সবকিছু দারুণ ছকে ফ্রেমে আবদ্ধ করেছেন পরিচালক এডওয়ার্ড জিউক । আর ছবিজুড়ে Leonardo DiCaprio, Djimon Hounsou এর অভিনয় দারুণভাবে টেনে নিয়ে যায় ।

উৎসঃ Celluloid Diary । সেলুলয়েড ডায়েরী

This website uses cookies.