ডিস্ট্রিক্ট ৯ মুভিটির বাংলা সাবটাইটেল (District 9 Bangla Subtitle) বানিয়েছেন সাহেদ কবির। ডিস্ট্রিক্ট ৯ মুভিটি পরিচালনা করেছেন নেইল ব্লোমকাপ।অ্যালাইভ ইন জবুরাগ উপন্যাস এর লেখক ডিরেক্টর নিজেই।অ্যালাইভ ইন জবুরাগ উপর বেস করেই ডিস্ট্রিক্ট ৯ তৈরী করা হয়েছ। ২০০৯ সালে ডিস্ট্রিক্ট ৯ মুক্তি পায় । ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে এখন পর্যন্ত ৬,০৬,৯৮৯টি ভোটের মাধ্যেমে ৭.৯ রেটিং প্রাপ্ত হয়েছে মুভিটি। ৩০ মিলিয়ন বাজেটের ডিস্ট্রিক্ট ৯ মুভিটি বক্স অফিসে ২১০.৮ মিলিয়ন আয় করে।
একটি এলিয়েন সাইন্স ফিকশন থেকে আপনি কি আশা করেন? ভাল বিজিএম, ভালো গ্রাফিক্স আর সম্ভব হলে ভালো অ্যাকশন। কিন্তু কাহিনী? এক্ষেত্রে এলিয়েন সাইফাই মুভিগুলো কিছুটা পিছিয়ে। হাতে গোনা কিছু মুভি আছে যেগুলোর কাহিনী ভালো কিন্তু তারপরও কেন যেন কমতি থেকেই যায়। কিন্তু District 9 এমন একটি মুভি যা কোনো দিক দিয়েই কমতি নেই। এর চেয়ে ইউনিক প্লট কোনো এলিয়েন সাইফাই মুভিতে ছিল না। মুভির নাম দেখে সিক্যুয়েল মনে করে বিভ্রান্ত হবেন না। ৯ নং এলাকা বা জেলা নিয়ে পুরো মুভি তাই নামকরন এরকম। নামকরনটাও ইউনিক, তাই না?
কাহিনী: এটাই মুভির সবচেয়ে শক্তিশালি দিক। ১৯৮৯ সালে দক্ষিন আফ্রিকার জোহান্সবার্গের আকাশে একটি স্পেসশিপ আসে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় স্পেসশিপটি চলাচল না করে আকাশে আটকে রয়েছে। ঠিক ভেসে থাকার মত। পৃথিবীবাসী আতঙ্কিত হয়ে থাকে হামলার আশংকায়। কিন্তু তাদের অবাক করে স্পেসশিপটি আকাশে আগের মতই ভেসে থাকে কয়েকদিন।
এরপর ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিমানবাহিনী স্পেসশিপের ভেতরে গিয়ে দেখে ঘটনা কি।
ভেতরে গিয়ে দেখা যায় বিপুল সংখ্যক এলিয়েন মৃত্যুযন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। দেখা গেল যে পৃথিবীতেই তাদের চিকিৎসা সম্ভব। তাই তাদের চিকিৎসা করা হয়। এরপর দেখা যায় তাদের স্পেসশিপ উড়ার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। যেহেতু তারা ফিরে যেতে পারছে না এবং তারা বন্ধুপরায়ন এবং বিপজ্জনক নয়, তাই তাদের কিছু সীমাবদ্ধতার মধ্য পৃথিবীতে থাকার অনুমতি দেয়া হয়। তাদের এলাকার নাম দেয়া হয় District 9।
বাকিটা জানতে দেখে ফেলুন অসাধারণ এই নেইল ব্লোমকাপ এর সাইন্স ফিকশন। সাইন্স ফিকশন লাভারদের মাস্ট ওয়াচ একটি মুভি।
রিভিউ করেছেনঃ Arafat R Al-amin