গ্যাং অফ ওয়াসিপুর পার্ট ২ মুভিটির বাংলা সাবটাইটেল (Gangs of Wasseypur Part 2 Bangla Subtitle) বানিয়েছেন নিয়াজ মাহমুদ। মুভিটি পরিচালনা করেছেন অনুরাগ কেশপ। এত সুন্দর একটা গল্পের লেখক ছিলেন জিশান কাদেরি। ৮ অগাস্ট ২০১২ সালে মুক্তি পায়। ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে এখন পর্যন্ত ৭০,৫৬৬ টি ভোটের মাধ্যেমে ৮.২ রেটিং প্রাপ্ত হয়েছে মুভিটি। ১.৯ মিলিয়ন বাজেটের মুভিটি বক্স অফিসে ১৩৬ মিলিয়ন আয় করে।
হলিউডের কাছে গর্ব করার মত অনেক সিনেমা আছে কিন্তু বলিউড তথা গোটা ভারতবর্ষে গর্ব করার মত সিনেমা খুব একটা বেশি না। কিন্তু সেই গুটি কয়েক সিনেমাগুলো হলিউডের অন্যসব মাস্টারপিসের সমপর্যায়ে। সেই লেভেলের একটি চলচ্চিত্র হচ্ছে “Gangs of Wasseypur ”
জিশান কাদরি- এই নামটি হয়তো অনেকের-ই অজানা, ২০০৯ সালে ওয়াসিপুর থেকে মুম্বাই আসেন “হিরো” হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে, যদিও পরবর্তীতে তার এই “লক্ষ্য” কয়েক লক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে যখন তিনি বুঝতে পারেন “হিরো” হওয়া অতোটা সহজ না, যতোটা কল্পনা করে তিনি ওয়াসিপুর ছেড়ে মুম্বাই আসেন… এরপর তিনি প্রচুর সিনেমা দেখা শুরু করে দেন, এক সময় রিয়ালাইজ করেন “আরেহ এই রকম কাহিনী তো আমিও লিখতে পারি”… খাতা-কলম নিয়ে বসে পড়লেন “লেখার” জন্য… কিন্তু কি “লিখবেন”…!! কোনো কূল-কিনারা করতে না পেরে সিদ্ধান্ত নেন নিজের জন্মস্থান(ওয়াসিপুর)কে নিয়ে লিখবেন… অবশেষে কোনো রকম ৮ পৃষ্ঠার মধ্যে গল্পের মূল কনসেপ্ট লিখে নিয়ে যান আনুরাগ কাশ্যাপের কাছে, আনুরাগ কাশ্যাপ সামারি পড়ার পর এই গল্প নিয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন… গল্প নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করায় জিশান এই ফাকে নিজের অভিনয়েr কথা আনুরাগ কাশ্যাপকে বলে… আনুরাগ কাশ্যাপ তাকে বলেন, অভিনয়ের চিন্তা আপাতত না করে পুরো স্ক্রিপ্ট লিখে নিয়ে আসতে… এরপর দীর্ঘ এক বছর গল্পের উপর কাজ করে ১৪০ পৃষ্ঠার স্ক্রিপ্ট নিয়ে হাজির হন আনুরাগ কাশ্যাপের সামনে… স্ক্রিপ্ট পড়ার সাথে সাথে ডিকলেয়ার করে দেন এই স্ক্রিপ্ট নিয়ে তিনি কাজ করবেন… অন্যদিকে জিশানের মনে অভিনয়ের ইচ্ছা এখন জীবন্ত… প্রি-প্রোডাকশনের সময়-ই তিনি আনুরাগ কাশ্যাপকে বলে দেন, এই গল্পের “ডেফিনেট” নামে যে চরিত্রটি আছে, তা তিনি প্লে করতে চান… এতে আনুরাগ কাশ্যাপ রাজি হয়ে যান, যদিও এই চরিত্রের প্রথম শট নেওয়ার পর আনুরাগ কাশ্যাপ শট বাদ করে দেন… এবং জিশানকে বলেন ওজন কমাতে… প্রায় দশ কেজি ওজন কমানোর পর আবার রিটেক দেন…
রিভিউ করেছেনঃ ইমরান
This website uses cookies.