হেল অর হাই ওয়াটার মুভিটির বাংলা সাবটাইটেল (Hell or High Water Bangla Subtitle) বানিয়েছেন মামুন আব্দুল্লাহ। হেল অর হাই ওয়াটার মুভিটি পরিচালনা করেছেন ডেভিড ম্যাকেনজি। চমৎকার গল্পটির লেখক ছিলেন টেইলর শেরিডান। ২০১৬ সালে হেল অর হাই ওয়াটার মুক্তি পায় । ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে এখন পর্যন্ত ১,৮১,৬২৭ টি ভোটের মাধ্যেমে ৭.৬ রেটিং প্রাপ্ত হয়েছে মুভিটি। ১২ মিলিয়ন বাজেটের মুভিটি বক্স অফিসে ৩৭.৯ মিলিয়ন আয় করে।
ট্যানার এবং টবি হাওয়ার্ড নামের দুই ভাইয়ের জন্ম টেক্সাসের এক দরিদ্র পরিবারে। একজন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, আরেকজন মাত্র এক বছর আগে দশ বছর জেল খেটে বের হয়ে এসেছে।
ছবি শুরু হয় ছোটখাটো দুইটা ব্যাংক ডাকাতি দিয়ে। নিজেদের রেঞ্চ বাঁচাতে টেক্সাসের মিডল্যান্ড ব্যাংকের দুইটা ব্রাঞ্চ লুট করে ট্যানার আর টবি। লুটের অংক দেখে এফবিআই কেইস নিতে তেমন আগ্রহ না দেখালে কেইসটি চলে যায় দুই প্রবীণ টেক্সান রেঞ্জারদের হাতে। তৃতীয় ডাকাতির পর, পুরোদস্তরভাবে দুই ভাইয়ের পেছনে লাগে এই দুই রেঞ্জার- মারকাস হ্যামিল্টন এবং আলবার্তো পারকার। অপেক্ষা করতে থাকে পরবর্তী ডাকাতির।
স্বল্প পরিসরের ছবিতে চেষ্টা করা হয়েছে সামাজিক রাজনৈতিক পটভূমি তুলে ধরার। পুরো ছবি জুড়েই যে কথাটা স্পষ্টভাবে বুঝানো হয়েছে সেটা হল আধুনিক পশ্চিমা সমাজের আসল খলনায়ক হচ্ছে ব্যাংকগুলো। লুট হওয়া প্রথম ব্যাংকের দেয়ালে স্প্রে করে লেখা ছিল “ইরাকে তিনটা ট্যুর অথচ মুক্তি নেই আমাদের মতো মানুষেরও ।” ঋণের কঠিন মারপ্যাঁচে পরে ভূমিহীন সুবিধাবঞ্চিত মানুষেরা বিরক্ত সমসাময়িক ব্যাংকিং ব্যবস্থার উপর। তাই ব্যাংক ডাকাতদের শনাক্ত করতে যেয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে তেমন কোন সহযোগিতা পায়না রেঞ্জাররা; সেই দৃশ্যে এক মধ্যবয়স্ক লোক বলে “ গত ত্রিশ বছর ধরে ব্যাংকইতো আমাদের লুট করে যাচ্ছে ”।
সিনেমাটি টেক্সাস কেন্দ্রিক হওয়া সত্তেও এর একটা দৃশ্যও ধারণ করা হয়নি টেক্সাসে।তাও ছবির প্রত্যকেটা দৃশ্য গুলো ছিল সজিব এবং প্রাণবন্ত। এতো সুপরিচিত থিম কেন্দ্রিক হওয়ার পরেও ছবির চিত্রনাট্য, সিনেমাটোগ্রাফি এবং শব্দগ্রহন ছিল চমৎকার। ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে চমৎকার সব সাউন্ডট্র্যাক।সংলাপগুলো খুব সাধারণ হয়েও ছিল মনে রাখার মতো অসাধারণ।অস্কারে ৪টি ক্যাটাগরিতে নমিনেশন ও জুটেছে।ছবিটি মুলত চারটি চরিত্রকে ঘিরেই। বাকি চরিত্রগুলো ছিল অনেকটা ক্যামিওর মতো। তবে প্রত্যেকটা চরিত্রের অভিনয়ই অনেক ভালো ছিল।
This website uses cookies.