মির্যাজ মুভিটির বাংলা সাবটাইটেল (Mirage Bangla Subtitle) কে বানিয়েছেন ইমন আহমেদ। মির্যাজ মুভিটি পরিচালনা করেছেন অরিওল পউলো। এত সুন্দর একটা গল্পের লেখক ছিলেন অরিওল পউলো ও লারা সেন্ডিম। ২০১৮ সালে মির্যাজ মুক্তি পায় । ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে এখন পর্যন্ত ১৯,৪১৯টি ভোটের মাধ্যেমে ৭.৪ রেটিং প্রাপ্ত হয়েছে মুভিটি। মির্যাজ নেটফিক্সের একটি অরিজিন্যাল মুভি। ইনভিজিবল গেস্ট, দ্য বডি খ্যাত পরিচালক অরিওল পাওলোর আরো একটি মাথা নষ্ট করা অসাধারণ থ্রিলার।
৯ নভেম্বর ১৯৮৯। প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড়ের রাত। নিকো লাসার্তে নামের ১২ বছরের একটা ছেলে নিজের গাওয়া গান রেকর্ড করছিলো। প্রতিবেশী অ্যাংগেল প্রিয়েতোর বাড়িতে চেঁচামেচির শব্দ শুনে সে ছুটে গিয়েছিলো, কি হয়েছে তা দেখার জন্য। সে দেখলো রক্ত মাখা ছুরি হাতে দাঁড়িয়ে অ্যাংগেল প্রিয়েতো। নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে তার স্ত্রী হিলডা ওয়েইস। প্রচন্ড ভয় পেয়ে নিকো দৌড়ে পালাতে গিয়ে একটা গাড়ির ধাক্কায় মারা গিয়েছিলো। ৯ নভেম্বর ২০১৪। ২৫ বছর পর। ঠিক একইরকম ঝড়ের রাত। ড. ভিরা রয় তার হাজবেন্ড ডেভিড অর্তিজ তাদের বাসার স্টোর রুম থেকে একটি পুরনো ক্যামেরা, একটি টেলিভিশন আর ১৯৮৯ সালের ৯ নভেম্বরে রেকর্ড করা একটা টেপ পায়। ওটা ছিলো নিকো লাসার্তের করা শেষ ভিডিওটা। ভিডিওটা দেখার পর হঠাৎ করেই যেনো টেলিভিশনটা জীবন্ত হয়ে ওঠে। সেই ঘূর্ণিঝড়ের রাতের লাইভ নিউজ টেলিকাস্ট। কিন্তু ২৫ বছর পরে এসে তা কি করে সম্ভব? এদিকে পরেরদিন ভিরাকে তার হাজবেন্ড থেকে শুরু করে আশপাশের কেউ চিনতে পারেনা। এমনকি তার মেয়ে গ্লোরিয়াকেও সে খুঁজে পায়না! চমকে ঠাসা এই মুভিটা না দেখলেই মিস করবেন!
Oriol Paulo এর আরেকটি অসাধারণ নির্মাণ। চোখ ধাঁধানো সিনেমাটোগ্রাফি। দ্য ইনভিজিবল গেস্ট এবং দ্য বডি যারা দেখেছেন শুধু তারাই বলতে পারবেন, মাথাকে নিয়ে কি পরিমাণে খেলতে পছন্দ করেন তিনি। এ মুভিতেও তিনি অসামান্য সৃজনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। থ্রিলার প্রেমীদের মাস্ট ওয়াচ।
This website uses cookies.