Sunday Holiday (2017) Bangla Subtitle – প্রত্যেকের মনে দাগ কেটে যাওয়ার মতো সিনেমা

সানডে হলিডে মুভিটির বাংলা সাবটাইটেল (Sunday Holiday Bangla Subtitle) বানিয়েছেন শাকিল মিকু। সানডে হলিডে মুভিটি পরিচালনা করেছেন জিস জয়। এত সুন্দর একটা গল্পের লেখক ছিলেন জিস জয়। ২০১৭ সালে সানডে হলিডে মুক্তি পায় । ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে এখন পর্যন্ত ৯০০ টি ভোটের মাধ্যেমে ৭.১ রেটিং প্রাপ্ত হয়েছে মুভিটি। ইউ এস ০.৫মিলিয়ন বাজেটের সানডে হলিডে মুভিটি বক্স অফিসে ইউ এস ৩.০ মিলিয়ন আয় করে।

সাবটাইটেল এর বিবরণ

  • মুভির নামঃ সানডে হলিডে
  • পরিচালকঃ জিস জয়
  • গল্পের লেখকঃ জিস জয়
  • মুভির ধরণঃ কমেডি, ড্রামা
  • ভাষাঃ মালায়লাম
  • অনুবাদকঃ Shakil Miku
  • মুক্তির তারিখঃ ১৪ জুলাই ২০১৭
  • আইএমডিবি রেটিংঃ ৭.১/১০
  • রান টাইমঃ ১৩৫ মিনিট

ডাউনলোড সাবটাইটেল

সানডে হলিডে মুভি রিভিউ

এমন সিনেমা জীবনে এনে দেয় মুগ্ধ প্রশান্তির অনাবিল প্রশ্বাস। ছুটির দিনেও আমাদের যান্ত্রিক জীবনে যে সামান্যটুকু প্রশান্তির প্রশ্বাস খুঁজতে ডানা মেলে। কিন্তু নেতিয়ে পড়া সেসব মুহূর্তগুলো কেও চাইলে আমরা কি পারি না সঠিকভাবে ব্যবহার করতে?? হয়ত চাইলে পারি। কিন্তু কতজন ই বা সেথায় কর্ণপাত করছি!!! এমন তো না যে, আপনার ছুটির দিন কেও কাজে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে…..

নিজেকে নতুনভাবে ভাবার সামান্যটুকু সময় হয়ত এই সময়ে আমাদের মাঝে পরিস্ফুটিত হয়। কেবল সেই মুহূর্ত টা কে কাজে লাগালে, হয়ত আমাদের অন্যান্য দিনের কর্মব্যস্তময় যান্ত্রিক জীবনেও প্রশান্তি সে অনাবিল প্রশ্বাস বয়ে যাবে।গল্পের প্রারম্ভিকতা অনেকটা এভাবেই শুরু হয়, কলেজের এক প্রফেসর রবিবারের ছুটির দিনেও স্পেশাল ক্লাস নেয় তার শিক্ষার্থীদের। তবে সে ক্লাসটি সিলেবাস কেন্দ্রিক পাঠদানের নয়; বরং জীবনকেন্দ্রিক অবলোকন খোচিত সুষ্ঠ শিক্ষা। যেথায় তার ক্লাসের শিক্ষার্থীরা মন্ত্রমুগ্ধের মত সে পাঠাদানের নেশায় মজে যায়। প্রফেসর সাহেবের বয়স প্রায় ৪০ ঊর্দ্ধো; বয়োজ্যেষ্ঠের এই ছাপ তার উদ্দ্যোমী মনোভাব কে ছাপাতে পারে নি। অনেক বছরের ইচ্ছে তার, একদিন তার লিখা গল্পে নির্মিত হবে সিনেমা।

অন্যদিকে হাসপাতালে আকস্মিক ভাবে ভর্তি হন, বিখ্যাত মালায়ালি পরিচালক। প্রফেসর সাহেব খবর টা জেনে, এই সুযোগ টা ছেড়ে দিতে চান নি। কৌশলে সে পরিচালক সাহেবের রুমে ডুকলেও পরিচালক প্রফেসরের গল্প শুনতে না করে দেয়। পরে অবশ্য প্রফেসর সাহেবে অতিরিক্ত আগ্রহ আর অমায়িকতায় পরিচালক নিজেই গল্পটি শুনতে আগ্রহী হয়ে যায়।গল্পটি ও কোন এক হাসপাতালে মরণাপন্ন এক মেয়েকে ঘিরে এগিয়ে যায়। যদিও গল্পের প্রারম্ভিকতা ঐ মেয়েকে ঘিরে হলেও নেপথ্যে গল্পটি এক যুবকের।সত্যি অনেকদিন পর, এমন অসাধারণ আরেকটি মালায়ালাম সিনেমা দেখলাম। এই সিনেমার গল্পে যতটা মজেছি, ঠিক ততটা মুগ্ধ হয়েছি সিনেমার আনুষঙ্গিক নানান সংলাপে।

Related Post

যার মুগ্ধতা আরো হাজারগুণ বেড়ে গেছে, অভিনয়শিল্পী দের সাবলীল নজরকাড়া অভূতপূর্ব অভিনয়ে।সিনেমার কারিগরি কাজ নিয়ে বলতে গেলে, সিনেমাটি শতভাগ সফল তার আনুষঙ্গিক সব কাজে। পরিচালক কাজ নতুন হলেও তার নির্মাণশৈলতা সত্যি প্রশংসনীয়। সিনেমার এডিটিং কিংবা স্ক্রিনপ্লে কোনকিছুতে ছিটেফোঁটা ও ভুল চোখে পড়ে নি।ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর ও ভালো। কিছু ভালো গান ও আছে। তবে কিছু গান বাদ দিলেও গল্পে অতটা প্রভাব পড়ত না। অভিনয়শিল্পী প্রত্যেকেই সাবলীল কাজ করেছেন। আসিফ আলি, আপার্ণা বালামুরালি, সিদ্দিক, শ্রীনিবাসান, আশা সারাত, লাল এদের চরিত্রগুলোর সাবলীল কাজ সিনেমায় প্রাণের সঞ্চার নিয়ে আসে।

পার্সোনাল রেটিং:- ৮/১০(ব্যক্তিগত বিচার টা নাহয় একান্ত আপনার ই থাকুক)এমন অসাধারণ সিনেমা মিস দিয়েন না।

নিশ্চিতভাবে বলা যায়, সিনেমাটি প্রত্যেকের মনে দাগ কেটে যাবে। সিনেমাটির ভবিষ্যতে বাংলা সাবটাইটেল আসার জোর সম্ভবনা আছে।যারা এখন ই লুফে নিতে চান, তামিলরকার্স বা তামিলএম্বি থেকে ডাউনলোড করে দেখে নিন ইংরেজি সাবটাইটেল দিয়ে।আল্লাহর দোহাই লাগে এমন সিনেমার হিন্দি ডাবিং খুঁজিয়েন না। কারণ আমি ১০০% গ্যারান্টি দিচ্ছি, এমন মালায়া লাম সিনেমার আজীবনেও হিন্দি ডাবিং হবে না।

রিভিউ করেছেনঃ Rakibul Hasan Rakib

View Comments

This website uses cookies.