সান শাইন মুভিটির বাংলা সাবটাইটেল (Sunshine Bangla Subtitle) বানিয়েছেন আতিক। সান শাইন মুভিটি পরিচালনা করেছেন ডেনি বয়লি। এত সুন্দর একটা গল্পের লেখক ছিলেন এলেক্স গারলেন্ড। ২০০৭ সালে সান শাইন মুক্তি পায় । ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে এখন পর্যন্ত ২,২০,৮৯৪ টি ভোটের মাধ্যেমে ৭.৩ রেটিং প্রাপ্ত হয়েছে মুভিটি। ৪০ মিলিয়ন বাজেটের সান শাইন মুভিটি বক্স অফিসে ৩২ মিলিয়ন আয় করে।
আলো। আলো ছাড়া কি আমরা একমুহূর্ত চলতে পারি? অবশ্যই না। দিনের বেলা তো আমরা সাধারণত সূর্যের আলোয় আলোকিত থাকি। আর রাতের অন্ধকার দূর করার জন্য কৃত্রিম ভাবে আলোর ব্যাবহার করে থাকি। একবার ভেবে দেখুন, যদি আমরা সূর্যের আলো না পাই তাহলে কি অবস্থা হবে? উফফ, আমি তো ভাবতেই পারছিনা। ভাবতেই কেমন গা শিউরে ওঠে। তো কথা বলছিলাম ‘সানশাইন’ মুভি নিয়ে। আমরা তো স্পেস ভিত্তিক অনেক সাই-সাই মুভি দেখেছি। যেমনঃ মঙ্গল গ্রহ, চাঁদ ইত্যাদি নিয়ে অনেক মুভি হয়েছে। কিন্তু এই মুভিটা সব কটা মুভি থেকে একেবারে আলাদা। এই মুভির কাহিনী গড়ে উঠেছে সূর্য কে কেন্দ্র করে।
সাল ২০৫০। সূর্য মারা যাচ্ছে। যার কারণে পৃথিবী হিমায়িত হয়ে যাচ্ছে। ফলাফলঃ পৃথিবী থেকে প্রাণের অস্তিত্ব একেবারে বিলীন হয়ে যাবে। ‘ইকারাস-১’ নামে একটা স্পেস শীপ কিছু ক্রু মেম্বারদের নিয়ে রওনা হয় সূর্যকে বাঁচানোর জন্য। তাদের উদ্দেশ্য হলো একটা বড় মাপের নিউক্লিয়ার বোমার মাধ্যমে সূর্যকে আবার পুনরুজ্জীবিত করা। যেভাবেই হোক এই মিশন ব্যার্থ হয়।
এই ঘটনার ঠিক ৭ বছর পর। ২০৫৭ সালে ৮ সদস্যের একটা দলকে ‘ইকারাস-২’ শিপের মাধ্যমে আবার মিশন সফল করার জন্য পাঠানো হয়। তাদের কাংখিত লক্ষে পৌঁছানোর আগ মুহূর্তে শীপে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। সেই সমস্যার থেকে কিছু দুর্ঘটনা ঘটে। এই সময় তারা হঠাৎ করে অপ্রকাশিত ভাবে ‘ইকারাস-১’ এর সন্ধান খুঁজে পায়। ক্রুদের একটা দল তখন ‘ইকারাস-১’ এ যাওয়ার জন্য তৈরি হয়। আর সেখানে যাওয়ার পর আরো বাজে ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে থাকে। এবার কি ঘটবে ‘ইকারাস-২’ এর কপালে? তারা কি মিশন সফল করতে পারবে? সূর্যকে বাঁচাতে পারবে? পৃথিবীকে বাঁচাতে পারবে? এই সবের উত্তর পাবেন মুভিতে।
মুভিটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লাগার একটা বিশেষ কারণ হলো এর স্টোরি। আগেই তো বললাম এর স্টোরি সূর্যকে নিয়ে। যেটা আর কোন মুভিতে আমি দেখিনি। এই মুভির আরেকটি নতুন বিষয় হলো মুভিতে দেখানো স্পেস স্যুট। এটা একেবারে ইউনিক। সব মুভিতেই দেখা যায় স্পেস স্যুট হয় সাদা। বাট এটাতে পুরো স্যুট একেবারে সোনায় মোড়ানো। আর স্যুটটা মনে হলো মেটাল এর। সবার অভিনয়ও অনেক ভালো ছিলো। তো বন্ধুরা,দেখে নিন এই জমজমাট মুভিটি। আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।
হ্যাপি ওয়াচিং
রিভিউ করেছেনঃ Md Mokbul Hussain
This website uses cookies.