দ্যা এলিফ্যান্ট ম্যান মুভিটির বাংলা সাবটাইটেল (The Elephant Man Bangla Subtitle) বানিয়েছেন মামুন আবদুল্লাহ। দ্যা এলিফ্যান্ট ম্যান মুভিটি পরিচালনা করেছেন ডেভিড লিঞ্চ। এত সুন্দর একটা গল্পের লেখক ছিলেন ক্রিস্টোফার দে ভোর, এরিক বার্গারেন। ১৯৮০ দ্যা এলিফ্যান্ট ম্যান মুক্তি পায় । ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে এখন পর্যন্ত ২০২,৯৩১ টি ভোটের মাধ্যমে ৮.১ রেটিং প্রাপ্ত হয়েছে মুভিটি। দ্যা এলিফ্যান্ট ম্যান মুভিটি বাজেট ৫ মিলিয়ন । বক্স অফিসে 26 মিলিয়ন (উত্তর আমেরিকা) আয় করে।
আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে টাচিং মুভিগুলোর একটা। সাইকোলজিকাল থ্রিলার বা ড্রামা-হরর টাইপের মুভির জন্যই ডেভিড লিঞ্চ ফেমাস। “Eraserhead” “Mulholland Drive” “Blue Velvet” যারা দেখেছেন সেটা তারা ভালভাবেই জানেন। কিন্ত, এই মুভি সেই ঘরানার বাইরে গিয়ে করা তার একটা অন্যরকম মাস্টারপিস!
মুভির প্রেক্ষাপট উনবিংশ শতাব্দীর লন্ডনে। লন্ডন হাসপাতালে কর্মরত তরুণ ডাক্তার ফ্রেডরিক ট্রিভস (এনথনি হপকিন্স) ভ্রাম্যমান এক সার্কাসের এক ফ্রিক শো থেকে খুঁজে পায় জন্মগত ভাবেই টিউমারের কারণে অস্বাভাবিক ভাবে বিকৃত শারীরিক গঠনের এক হতভাগ্য যুবক জন মেরিককে (জন হার্ট)। তার কুৎসিৎ চেহারা দেখলে যে কারো পেট গুলিয়ে আসার জন্য যথেষ্ট। নিষ্ঠুর আর মাতাল প্রকৃতির লোক বাইটস তাকে জীব জন্তুর মত খাঁচায় রেখে সার্কাসের ফ্রিক শোতে মানুষকে দেখিয়ে পকেট ভর্তি করে আর কারণে অকারণে নির্মম অত্যাচার চালায় তার ওপর। চিকিৎসক হিসেবে স্বভাবজাত গবেষণামূলক কৌতুহল মেটাতেই তাকে সেখান থেকে নিয়ে আসে ট্রিভস। এনে তাকে পরম মনুষ্যত্ব দেখিয়ে বাইরের জগতের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়, দেখিয়ে দেয় সে কুৎসিত বলে ফেলনা নয়, তার জন্যেও মানুষের অনেক ভালবাসা আছে! একসময় খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে এলিফ্যান্ট ম্যান। তার ভেতরেও যে একটা অসাধারণ মানুষ লুকিয়ে আছে তা দিয়ে মন জয় করে নেয় সবার!
জন মেরিকের চরিত্রে অভিনয় করা জন হার্টের অভিনয় অসাধারণ হয়েছে। বিশেষ করে কয়েকটি জায়গায় তার স্মৃতিচারণ আর আত্মউপলব্ধিমূলক ডায়ালগগুলো শুনে অতি কঠিন মনের মানুষেরও বলতে হতে পারে, “I had to punch a wall to feel like a man again”
যারা আমার মত “Silence of the Lambs” “Red Dragon” “Legends of the Fall” “Fracture” ছাড়া আর কোনো মুভি দেখেননি তারা এন্থনি হপকিন্সের এই ট্রিভস চরিত্র দেখে কিছুটা অবাক হতে পারেন! এই লোক এত ভাল মানুষ হতে পারে!! পুরো মুভিটাই সাদা কালোতে করা হয়েছে। যারা দেখেননি দেখার জন্য রিকমেন্ড করলাম, অবশ্যই দেখবেন!
রিভিউ করেছেনঃ Tanjim Hossain
This website uses cookies.