ইয়োজিম্বো মুভিটির বাংলা সাবটাইটেল (Yojimbo Bangla Subtitle) বানিয়েছেন কামরুল হাসান। ইয়োজিম্বো মুভিটি পরিচালনা করেছেন আকিরা কুরোসাওয়া। এত সুন্দর একটা গল্পের লেখক ছিলেন আকিরা কুরোসাওয়া। ১৯৬১ সালে ইয়োজিম্বো মুক্তি পায় । ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে এখন পর্যন্ত ৯৯,৩১৩টি ভোটের মাধ্যেমে ৮.৩ রেটিং প্রাপ্ত হয়েছে মুভিটি। ১৮৬০ সালে Tokugawa Dynasty যখন ধ্বংস হয়ে যায়, বেশিরভাগ সামুরাইরা তখন বেকার জীবনযাপন শুরু করে। কাজের সন্ধানে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ানো ছাড়া তাদের আর কিছু করার ছিল না। তাদের অবস্থা এতটাই করুণ ছিল যে, ছবির নায়ককে আমরা শুরুতে বিস্তীর্ণ প্রান্তরে দাঁড়িয়ে একটি লাঠি উপরে ছুঁড়ে মারতে দেখি। লাঠিটি মাটিতে পড়ার পর যেদিকে নির্দেশ করে সেদিকেই সে হাঁটা শুরু করে।
বলা হয় কুরোসাওয়ার ছবিগুলোর মাঝে এই ছবির সিনেমাটোগ্রাফিই সব চাইতে অপূর্ব। সেক্ষেত্রে কোনও সন্দেহের অবকাশ আছে বলে মনে হয় না। Toshiro Mifune কে যতবারই দেখি, ততবারই আমার ক্লিন্ট ইস্টউডের কথা মনে হয়েছে। তার প্রতিটি মুহূর্তেই তিনি সতর্ক যে তিনি একটি ছবিতে কাজ করছেন। ক্লিন্ট ইস্টউডের মাঝেও আমি এটি লক্ষ্য করে এসেছি। একমাত্র তাদের পক্ষেই সম্ভব, এরকম একটি মৌলিক ত্রুটিকে কিভাবে একজন অভিনেতার সবচেয়ে বড় গুণে পরিণত করা যায়। Toshiro Mifune কে কেন আধুনিক জাপানিজ মুভির শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বলা হয়, তা বুঝে নিতে কষ্ট হবে না।
ছবিতে খুবই সচেতনভাবে ডার্ক কমেডি আর স্ল্যাপস্টিক কমেডি ব্যবহার করা হয়েছে। যে দৃশ্যগুলোতে কমেডি ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলো অত্যন্ত কার্যকরী। ছবির আবহ সংগীত আমাকে সবচেয়ে চমকে দিয়েছে। মনে হলো যেন সার্জিও লিওনের Dollars Trilogy’র অপূর্ব আবহ সংগীতের পেছনেও এটি অনেক বড় অনুপ্রেরণা ছিল।
ছবির প্রায় শেষে এমন একটি দৃশ্য আছে, যেখানে সামুরাইকে একটি সিদ্ধান্ত নিতে হয়, যে সিদ্ধান্তের উপর তার মৃত্যুও নির্ভর করে। কিন্তু সে বিচলিত না হয়ে স্থিরভাবে বসে থাকে। যেন সে বুঝতে পেরেছে তার সময় সে পার করে এসেছে এবং তার উচিৎ তার সামনে যা আছে তা ভাবলেশহীনভাবে গ্রহণ করা।
আসলেই, আকিরা কুরোসাওয়া একজন কবি আর তার ছবি এক একটি কবিতা। যে কবিতা আজও আমাদের অনুভূতি নিয়ে খেলা করে।
রিভিউ করেছেনঃ Shadhin Ahmedd